ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় বাংকার সংস্কারের ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই পাশের মানুষ। নিরাপত্তা নিয়ে তাদের উদ্বেগও বেড়েছে।
তারা ভেবেছিলেন, পরিস্থিতি হয়ত এর চেয়ে খারাপ হবে না। কিন্তু গেল সপ্তাহে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলি বিনিময়ের কারণে নির্ঘুম রাতদিন কাটাচ্ছেন তারা।
পাকিস্তান শাসিত লিপা উপত্যকায় প্রায় ৪০,০০০ বাসিন্দার বাস, বেশিরভাগ মানুষই আইন মেনে চলেন। ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামের ঘটনার পর গেল শুক্রবার ও শনিবার পাকিস্তান ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যবর্তী রাতে সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। এরপর শনিবার রাতে ফের গুলি বিনিময় শুরু হয়। ওইদিন রাত ১০টায় গুলি বিনিময় শুরু হয়ে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চললেও সাধারণ মানুষকে কিন্তু নিশানা হতে হয়নি। তবে আতংক ছাড়েনি।
কুপওয়ারার কারনাহ সেক্টরের বাসিন্দারা ব্যক্তিগত ব্যয়ে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার তৈরির কাজ শুরু করেছেন বা সেগুলো পুনর্নির্মাণ করছেন।
স্থা্নীয়রা জানান, যে কোনো সময় কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। সে কারণেই আমরা ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার বানাচ্ছি যাতে কিছু হলে আমরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারি।
কুপওয়ারার একাধিক বাসিন্দারা বলছেন, অতিরিক্ত সামরিক তৎপরতা এবং রাতের আকাশে জেট বোমারু বিমানের আওয়াজ তাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
উরি সেক্টরেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন মানুষ। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই সেক্টরের ভাটগ্রান ও চরন্দা এলাকায় ১৬টা বাঙ্কার নির্মাণ করা হলেও স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ও জলের ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয়রাও পর্যটন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। ওই এলাকায় অন্তত ৩০টা নতুন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণে পর্যটক আসাও শুরু হয়েছিল।
বহু মানুষ পর্যটনকে তাদের কর্মসংস্থানের উৎস বানিয়েছে। এখন এসব গোলাগুলির ঘটনা ঘটায় পর্যটকরা ওই এলাকায় বেড়াতে যাবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানুষের কর্মসংস্থানের উপর এর খুব খারাপ প্রভাব পড়বে। সূত্র: বিবিসি।
আ/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।